নির্বাচনের প্রস্তুতিতে দেড় লাখ পুলিশকে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: বায়েজীদ আকতার/টাইমস

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকার ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি এবং সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদারে কাজ শুরু করেছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচন বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত।

সোমবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভুয়া তথ্য প্রতিরোধ এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতির ওপর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘তারা (পুলিশ) মূলত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি বলেন, ‘সেনাসদস্যরা এর মধ্যেই গত ৫ আগস্ট থেকে মাঠে সক্রিয় আছেন এবং তাদের বিচারিক ক্ষমতাও রয়েছে। নির্বাচনের সময় ৬০ হাজার সেনাসদস্যও মোতায়েন থাকবে।

‘ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার গঠনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই সেন্টারটি খুব দ্রুত গুজব শনাক্ত ও প্রতিরোধ করবে এবং সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেবে,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এই কেন্দ্রটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ইতিবাচক ও তাৎক্ষণিক কর্মকাণ্ড প্রচারে সাহায্য করবে, যেগুলো বর্তমানে প্রচার না পাওয়ায় অনেক সময় অজ্ঞাতই থেকে যায়।’

বৈঠকে নতুন করে গঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমান্ড কাঠামোর অধীনে মিডিয়া উইং প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও আলোচনায় এসেছে। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং এবং তাৎক্ষণিক তথ্য প্রকাশে সহায়ক হবে।

শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। ভবিষ্যতে এমন ব্যর্থতা এড়াতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আরও সমন্বিতভাবে এবং আগেভাগেই তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

নির্বাচনপূর্ব প্রশাসনিক রদবদল নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সার্বিকভাবে নয়, শুধুমাত্র যেখানে প্রয়োজন সেখানেই রদবদল হবে। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সম্ভাব্য নির্বাচনের আগে ‘হটস্পট্’।

দিনের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, ঐকমত্য কমিশনের রাজনৈতিক সংলাপ এবং শুল্ক নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘সরকার সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলছে এবং নির্বাচনী নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *