টিটুর শিষ্যদের স্ট্রাকচার ঠিক করলেন ক্যাবরেরা

টাইমস স্পোর্টস
3 Min Read
বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। ছবি: সংগৃহীত

এএফসি অনূর্ধ্ব–২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব শুরু হতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। সেপ্টেম্বরে প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে গত দশ দিন ঢাকায় ঘাম ঝরিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২৩ দল। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা কাল সকালে রওনা দেবে বাহরাইনের উদ্দেশ্যে, যেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে মূল পর্বের আগে নিজেদের পরখ করে নেবে দল।

বাহরাইন যাত্রার আগের দিনই মুখোমুখি হয় দলীয় প্রস্তুতি নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও আলোচনা। জাতীয় দলের হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার একটি অনুশীলন সেশন ঘিরে তৈরি হয় সেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণত জাতীয় দলের কোচই দল নির্বাচন থেকে শুরু করে অনুশীলন ও কৌশল তৈরির পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু অনূর্ধ্ব–২৩ দলের দায়িত্বে থাকা হেড কোচ সাইফুল বারী টিটুর অধীনে পুরো প্রস্তুতি চললেও, হঠাৎ করেই ঢাকায় এসে এক দিনের জন্য অনুশীলন করান ক্যাবরেরা। ফুটবলে এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না, বিশেষ করে যখন দলের জন্য আলাদা হেড কোচ আগে থেকেই নিয়োজিত থাকে।

এ বিষয়ে টিটুর বক্তব্য ছিল অনেকটা স্বস্তিদায়ক ভঙ্গিতে। তার ভাষায়, হেড কোচ হিসেবে ফুল কন্ট্রোল তার কাছেই রয়েছে। ক্যাবরেরা কেবল জাতীয় দলের গেম মডেলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছেন। ‘এই দলে কয়েকজন সিনিয়র দলের খেলোয়াড় আছে। ক্যাবরেরা অনেক দিন জাতীয় দলে আছেন, তার মডেল ঠিক রাখার জন্য আসা অবাক হওয়ার কিছু নয়,’ বলেন টিটু। তিনি আরও জানান, এখন মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে ভিয়েতনামের আসন্ন টুর্নামেন্টে এবং অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে।

এএফসি প্রতিযোগিতায় হেড কোচ হতে হলে প্রো লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশে প্রো লাইসেন্সধারী কোচের সংখ্যা একেবারেই কম, যারা আছেন তাদের অনেকেই অনূর্ধ্ব–২৩ দলের দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছুক। বাধ্য হয়ে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটুকেই হেড কোচের ভূমিকা নিতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে টিটু বলেন, ভবিষ্যতে প্রো লাইসেন্স কোচিং কোর্স আয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে, কারণ ঘরোয়া লিগেও শিগগিরই প্রো লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হতে পারে।

দলের অন্যতম ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু, যিনি বয়সসীমার মধ্যে থাকায় এবার অনূর্ধ্ব–২৩ দলে জায়গা পেয়েছেন, জানিয়েছেন ক্যাবরেরার অনুশীলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল দলের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করা। যদিও কোন কোন জায়গায় ঘাটতি রয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। শুধু জানান, খেলার স্ট্রাকচারে কিছু ঘাটতি ছিল, সেগুলো নিয়েই কাজ করেছেন ক্যাবরেরা।

দলের ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়েও রয়েছে কিছু আলাদা দিক। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলা আবাহনীর ফুটবলাররা কালই দলের সঙ্গে বাহরাইন যাবেন। বসুন্ধরা কিংসের চার ফুটবলার রিমন, জনি, শ্রাবণ এবং কিউবা মিচেল বর্তমানে কাতারে রয়েছেন। তারা সেখান থেকে সরাসরি বাহরাইন পৌঁছাবেন। ক্লাব সংক্রান্ত জটিলতায় ফাহামিদুল অনূর্ধ্ব–২৩ দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারছেন না। বিদেশে বেড়ে ওঠা খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন জায়ান আহমেদ, কিউবা মিচেল ও তানিল শালিক।

প্রথমে মোট ২৬ জনের বাহরাইন যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ মুহূর্তে মোরশেদ বাদ পড়ায় এখন চূড়ান্ত দল ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ১৮ ও ২২ আগস্ট বাহরাইনে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরই তারা ফিরবে দেশে, এরপর শুরু হবে বাছাই পর্বের চূড়ান্ত প্রস্তুতি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *