দেশে প্রথমবারের মতো রেলওয়ে স্টেশনে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ ব্র্যান্ডের স্ক্যানারটি বসানো হয়।
কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রেলওয়ে স্টেশনে লাগেজ স্ক্যানিং চালু হওয়ায়, রেলপথের অপরাধ রোধ এবং মাদক ও অবৈধ পণ্যের প্রবাহ ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, কক্সবাজারে প্রতিনিয়ত মাদক ও চোরাচালান বাড়ছে। তাই যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার জন্য রেলওয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার রেল স্টেশনে লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। তবে দুর্ভোগের শিকার না হতে চাইলে ট্রেন ছাড়ার অন্তত আধঘণ্টা আগেই যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে।
স্টেশনের টিকিট কালেক্টর শান্ত বড়ুয়া বলেন, ‘স্ক্যানিং মেশিনটা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হয়েছে। এই মেশিনে ওষুধ থেকে শুরু করে যে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও চোরাইপণ্য শনাক্ত করা যাবে। এক্ষেত্রে মেশিনে শনাক্ত হওয়া ব্যাগই শুধু তল্লাশি করা হচ্ছে।
রেলওয়ের এই উদ্যোগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ঢাকাগামী কয়েকজন যাত্রী বলেন, ‘নতুন এই উদ্যোগ আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, এটা ভালো দিক। পরিবার নিয়ে যারা ট্রেন ভ্রমণ করে তাদের জন্য এটি স্বস্তির খবর।’
তবে অহেতুক হয়রানি না করে দ্রুত স্ক্যান করার দিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন যাত্রীরা।
২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। বর্তমানে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন এবং কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস নামক ট্রেন চলাচল করছে।