ভারতের একাধিক মূলধারার গণমাধ্যম সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে বলে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ভুয়া সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, ‘এসব ভিত্তিহীন প্রতিবেদন’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে এক্স-এ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
এতে জানানো হয়, ২৬ মে ‘সিএনএন নিউজ-১৮’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান নাকি ‘প্রধান উপদেষ্টাকে অপসারণের’ নানা পথ খুঁজছেন! একই খবর ‘ফার্স্ট পোস্ট’ এ-ও পুনঃপ্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বেনামি সূত্রের বরাতে বলা হয়, সেনাপ্রধান নাকি সংবিধানের ফাঁক-ফোকর খুঁজে ‘সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ’ জানাতে পারেন।
আরও দাবি করা হয়, ক্ষমতা হস্তান্তরে ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী নাকি রাষ্ট্রপতিকে ‘জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সরকার ভেঙে নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে চাপ’ দিতে পারেন।
প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, এসব দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর এসব প্রতিবেদনে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র বা প্রমান নেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। ২১ মে সেনানিবাসে ‘দরবার’ সভায় সেনাপ্রধান স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করছি, ভবিষ্যতেও করব।’
এতে জানানো হয়, এছাড়া ২০ মে এবং ২৩ মে সেনাবাহিনী অফিসিয়াল বিবৃতিতে ‘অভ্যুত্থানের গুজব’ নাকচ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অপপ্রচার ভারতীয় কট্টরপন্থী মিডিয়ার একটি পরিকল্পিত প্রচারাভিযানের অংশ, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশে চলমান শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক রূপান্তরকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।