বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্যগুলোর ওপর ৩৫ ভাগ মার্কিন শুল্ক আরোপ নিয়ে ২৯ জুলাই এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
১ আগস্ট নতুন শুল্ক হার কার্যকর হওয়ার ঠিক আগে হচ্ছে এ বৈঠক, যা ইতিবাচক আলোচনায় গড়াবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ বিষয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুন্ণ হয় এমন কোনো কাজ করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রীকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সক্ষমতার ভিত্তিতে আমাদের যা করণীয় চিঠিতে সেটা তুলে ধরা হয়েছে। এখন আমরা জবাব ও আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছি। এ বিষয়ে আমাদের কর্মকাণ্ডে কোনো স্থবিরতা নেই।’
যদিও ইতোমধ্যে দুই দফা আলোচনা হয়েছে, তবে শুল্ক বিষয়ক কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে জানান, ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে, যা বাংলাদেশের রপ্তানির উপর গড় শুল্ক প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আমাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও নিশ্চিত করেন, সরকার দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিককে বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
১ আগস্টের ডেডলাইন সম্পর্কে বাণিজ্য উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি আপনার মতোই ফলাফল দেখতে আগ্রহী।’