৯ কোটি টাকা দেনা থাকলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাথে সমঝোতা করেছিল চিটাগং কিংস। মোট দেনার সাড়ে ৩ কোটি টাকা দেয়ার শর্তে কেবল গত মৌসুমের জন্য বিপিএলে খেলার সুযোগ পায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি, যার মালিক হিসেবে আছেন সামির কাদের চৌধুরী।
কিন্তু সেই অর্থ পরিশোধ না করায় বন্দর নগরীর এই দলটির সাথে বিপিএলের চুক্তি ছিন্ন করেছে । বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সব মিলিয়ে কিংসের কাছে বিসিবির পাওনা সুদসহ সর্বমোট ৩৭ লক্ষ ৮২ হাজার ১৫৬ ডলার ১৬ সেন্ট। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪১ লক্ষ ৬০ লাখ টাকা। তবে মাসখানেক আগে বিসিবি থেকে পাঠানো আইনী নোটিশে জানানো হয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে মোট ৪৬ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
অবশ্য এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড তথা সামির কাদের চৌধুরীর মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে এই পরিমাণ বকেয়া এক মৌসুমে হয়নি বিসিবির। বিপিএলের গত মৌসুমের আগে ২০১২ ও ২০১৩ সালের আসরে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করেছিল চিটাগং কিংস। মূলত সেই দুই আসরের পাওনা সুদে আসলে বেড়ে এত বিকট আকার ধারণ করেছে বিপিএলের একাদশতম আসরের সাথে মিলে।
বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় নোটিশ দেয়ার পরেও কিংসের স্বত্বাধিকারী বিসিবির পাওনা বুঝিয়ে দেননি। বিসিবি জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ৭ মে থেকে ২০২৫ সালের ২২ জুলাই পর্যন্ত কিংসের মালিকপক্ষকে আর্থিক দেনা পরিশোধের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তিন মৌসুম মিলিয়ে কিংসের কাছে বিসিবির আসল পাওনা ১৭ কোটি টাকা। সুদ-সহ সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকায়। আর সব মিলিয়ে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত দেনার পরিমাণ ৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
গত ৯ আগস্ট বিসিবির বোর্ড সভা শেষে পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু জানান, গত আসরে চিটাগং কিংসের কাছে কোচ-ক্রিকেটার ও হোটেল বিলের বকেয়া থাকা টাকা তারা পরিশোধ করবেন। এর আগে বিসিবির তরফ থেকে ৪৬ কোটি টাকা পাওনা দাবি করে সামিরের কাছে একটি আইনী নোটিশ পাঠানো হয়। সেই ধারাবাহিকতায় সামির সোমবার বললেন, তার দল নয় বরং বিসিবিই বিপিএলকে বেশি বিতর্কিত করেছে। যদিও তার বিরুদ্ধে চিটাগং কিংসের বিদেশি হোস্ট ইয়াশা সাগর, মেন্টর হিসেবে আসা শহীদ আফ্রিদি, কোচ শন টেইটের পাওনা বকেয়া থাকার অভিযোগ আছে।