সহজ সমীকরণ, ম্যাচ জিতলে শ্রীলংকায় প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের আর হারলে ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও থেকে যাবে শ্রীলংকায়। ১-১ সমতায় থেকে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরেছে বাংলাদেশ। অঘোষিত ফাইনালে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লংকান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। আগের দুই ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করেছিল শ্রীলংকা।
সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের একাদশে। মেহেদী হাসান মিরাজের বদলে একাদশে আনা হয়েছে অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী হাসানকে, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের পরিবর্তে এক ম্যাচ পর একাদশে ফিরেছেন তানজিম হাসান সাকিব।
শ্রীলংকাও করেছে দুটি পরিবর্তন। আভিশকা ফার্নান্দোকে বাদ দিয়ে নেয়া হয়েছে দীনেশ চান্দিমালকে। চামিরা করুনারত্নেকে বসিয়ে একাদশে এসেছেন কামিন্দু মেন্ডিস।
পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ছন্নছাড়া ক্রিকেট খেলে বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরেছিল ৭ উইকেটের ব্যবধানে। অবশ্য সেদিন কুশাল মেন্ডিস-পাথুম নিসাঙ্কার ঝড়ো ব্যাটিং না থামলে বাংলাদেশের দেয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য কমপক্ষে পাঁচ ওভার হাতে রেখে জিততে পারত শ্রীলংকা।
তবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাসের ৫০ বলে ৭৬ রানের ইনিংসের সাথে শামীম হোসেনের ২৭ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত দুই ইনিংসে শ্রীলংকাকে ১৭৮ রানের লক্ষ্য দেয়। রান তাড়ায় নেমে থুবড়ে পড়ে লংকানরা। রিশাদ হোসেন, শরীফুল ইসলামদের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৯৪ রানে হয় অল আউট। ৮৩ রানের জয়ে সিরিজে সমতায় ফেরেন লিটনরা।
বাংলাদেশ: তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদী হাসান রিশাদ হোসেন, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলংকা: পাথুম নিসাঙ্কা, কুশাল মেন্ডিস, কুশাল পেরেরা, দীনেশ চান্দিমাল, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), দাসুন শানাকা, মাহিশ থিকশানা, জেফ্রে ভ্যান্ডারসে, বিনুরা ফার্নান্দো ও নুয়ান থুসারা।