জামায়াত নেতার নির্দেশ মানেননি বলে ‘একজন সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা’ করে অমানবিকভাবে সিঁড়ি দিয়ে টেনে তোলার দৃশ্য দাবি করে সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) পরিচালিত ফ্যাক্টচেক টিম বাংলাফ্যাক্ট জানিয়েছে, ভিডিওটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ঘটনার সম্পর্ক নেই—এটি ভারতের বিহারের একটি ঘটনার ফুটেজ।
বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, সোমবার ভারতের বিহার রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেত্তিয়া শহরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (জিএমসিএইচ) সিঁড়িতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ টেনে তোলার সময় এই দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরবর্তীতে দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভিসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে সঠিক সরঞ্জাম বা প্রক্রিয়া না থাকায় মর্গ সহকারী ও এক পুলিশ সদস্য দেহটি উল্টো করে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে বিহারজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।
পশ্চিম চম্পারণ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ধর্মেন্দ্র কুমার গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় হাসপাতালের মর্গ সহকারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রচারিত ভিডিওটিতে দাবি করা হয়—একজন জামায়াত নেতার নির্দেশে সরকারি কর্মকর্তাকে খুন করে এভাবে সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাফ্যাক্ট বলছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর দাবি।
বাংলাফ্যাক্ট পিআইবির একটি প্রকল্প, যা সামাজিকমাধ্যমে প্রচারিত গুজব, ভুয়া খবর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য বিকৃতির বিরুদ্ধে নিয়মিত কাজ করে আসছে।