উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউএপিইও) পদটিকে দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। নাহলে কর্মক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হবে বলেও মনে করছেন তারা।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানায় বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের আহ্বায়ক মুহাম্মদ মিলন মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন। কিন্তু তাদের প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান, মনিটরিং. এসিআর প্রদান ও ছুটি প্রদান করে থাকেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। এ কারণে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা পদটি নবম গ্রেডে উন্নীত করা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ১ হাজার ৭২৭ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কর্মরত। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৬০ জন কর্মকর্তা উচ্চতর গ্রেড, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ইতোমধ্যে সপ্তম, অষ্টম বা নবম গ্রেডের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।’
‘উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পদটিকে নবম গ্রেডে উন্নীত করলে মাত্র ২৬৭ জন কর্মকর্তার জন্য অতিরিক্ত অর্থ লাগবে। এতে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪২ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। সরকারের ওপর কোনো চাপ পড়বে না,’ যোগ করেন তিনি।
সংগঠনের সদস্য সচিব আল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘১৯৯৪ সালের পর থেকে সহকারী শিক্ষকরা ১৮তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেডে এবং ও প্রধান শিক্ষকরা ১৭তম গ্রেড থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ও পিটিআই সুপরিনটেনডেন্ট পদের গ্রেড নবম থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে হয়েছে ষষ্ঠ।
‘পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর পদটি তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে বা নবম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু ১৯৯৪ সালেও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেড ছিল দশম, এখনো তা তেমনই আছে, তিনি বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ৩১ বছর ধরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা একই গ্রেডে চাকরি করছেন। প্রতি দশ জনে মাত্র একজনের পদোন্নতির সুযোগ হওয়ায় অধিকাংশ কর্মকর্তাই একই পদে থেকে অবসরে যান। তাই চাকরির গ্রেড বৃদ্ধির বিষয়টি যতটা না আর্থিক, তারচেয়ে বেশি সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন।