বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহর পরিচয়পত্র পেশের অনুষ্ঠান শেষ মুহূর্তে স্থগিত করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কারণ হিসেবে সময়সূচির জটিলতার কথা জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, পূর্ব-নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করার কথা ছিল বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহর। তবে দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশের হাইকমিশনকে জানানো হয় যে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে।
স্থগিত হওয়া এই অনুষ্ঠানের জন্য এখনো নতুন কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি, এবং ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে আর কোনো কারণ জানাননি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠেয় পরিচয়পত্র উপস্থাপন অনুষ্ঠান সময়সূচির কারণে স্থগিত করা হয়েছে।’
সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছাড়াও দিল্লিতে নিযুক্ত আরও পাঁচ দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ করার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে দিল্লির পক্ষ থেকে এই আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে। বিস্তারিত কারণ অন্যদেরকেও বলা হয়নি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৯৫ ব্যাচের অভিজ্ঞ কূটনীতিক রিয়াজ হামিদুল্লাহ নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে গত ৭ এপ্রিল ভারতের নয়াদিল্লিতে যোগদান করেন। তিনি সাবেক হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হন। মোস্তাফিজুরের বিদায়ের পর থেকে এই পদটি শূন্য ছিল, যা দুই দেশের সংবেদনশীল সম্পর্কের সময় একটি কূটনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি করে।
গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে রিয়াজ হামিদুল্লাহর জন্য এগ্রিমো পাঠায়। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত সরকার তার এগ্রিমো গ্রহণ করে।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ এর আগে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি দিল্লি ও নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া কাঠমান্ডুতে সার্ক সচিবালয়ে বাংলাদেশের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ কূটনীতিকের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বরে।