র্যাংকিংয়ের দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়া নারী ফুটবল এক বাঘা প্রতিপক্ষ। তবুও পিটার বাটলারের শিষ্যরা প্রথমার্ধে কোনো ধরনের ভয় না পেয়ে খেলেছে চোখে চোখ রেখে। শুরু থেকেই হাই লাইন ডিফেন্স, হাই প্রেসিং আর অফসাইড ট্র্যাপের দারুণ প্রয়োগে আফেইদারা কোরিয়ান আক্রমণকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। ম্যাচের মাত্র দশ মিনিটেই তিনবার অফসাইডে ফেলে প্রতিপক্ষকে চাপে আনে বাংলাদেশ।
খেলা ছিল আক্রমণ পালটা আক্রমণে ভরপুর। কখনো দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণে উঠেছে, কখনো বাংলাদেশ পাল্টা জবাব দিয়েছে। গোলরক্ষক স্বর্ণা রাণী মণ্ডল প্রথমার্ধে ছিলেন দুর্দান্ত পাঁচ ও বাইশ মিনিটে দুইটি নিশ্চিত গোল ঠেকানোর পাশাপাশি সুইপার কিপারের ভূমিকায়ও বেশ কয়েকবার এগিয়ে এসে কোরিয়ান আক্রমণ থামিয়েছেন।
পনেরো মিনিটে শান্তি মার্ডির নিচু পাস থেকে তৃষ্ণা রানীর ট্যাপ-ইন গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে আনন্দ স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ, উনিশ মিনিটে সমতায় ফেরে কোরিয়া। উচ্চতর গতি ও তীব্রতার এমন ম্যাচ বাংলাদেশ সচরাচর খেলে না, ফলে প্রথমার্ধের শেষদিকে কিছুটা ক্লান্তি চোখে পড়ে দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ দুইটি পরিবর্তন করে, তেইশ মিনিটে শান্তির জায়গায় বন্যা এবং একত্রিশ মিনিটে পূজার পরিবর্তে জুতি মাঠে নামেন।
দ্বিতীয়ার্ধে আফঈদারা চাইবে দক্ষিণ কোরিয়ার দূর্বলতা কাজে লাগিয়ে এই ম্যাচ থেকে জয় ছিনিয়ে আনা। এই ম্যাচে হার এড়াতে পারলে কিংবা কম ব্যবধানে হারলেই বাংলাদেশ মূলপর্বের টিকেট নিশ্চিত করে ফেলবে।