উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। পানির চাপ সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বন্যা ও নদীভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
রোববার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০৮ মিটার, যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২.১৫ মিটার)।
ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও লাগাতার বৃষ্টিপাতে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর ফলে হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের চরগুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে।
আক্রান্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে হাতীবান্ধার ৬টি ইউনিয়নের ৮–১০টি চরাঞ্চল, পাটগ্রামের দহগ্রাম, আদিতমারীর চর গোবর্ধন ও মহিষখোঁচা এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর ও নিচু অঞ্চলগুলো। এসব এলাকার ফসলি জমি, বিশেষ করে আমন ধানের বীজতলা ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানিয়েছেন, ‘উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।’
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, ‘পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গত বছরগুলোর তুলনায় এবার পানি খুব দ্রুত উঠছে। তারা আশঙ্কা করছেন, ঘরবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়তে পারে, যদি এভাবে পানি বাড়তে থাকে।