বাংলাদেশের কৃষিতে আধুনিক সেচপ্রযুক্তি আনার পথে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও হয়রানি দূর করার দাবি জানিয়েছে শেরপা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু তাহের এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘কৃষি যন্ত্রপাতি সম্পর্কে ধারণা নেই, এমন লোক দায়িত্বে থাকায় কাস্টমসে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানির বিষয়টি সহজ করা উচিত।’
মো. আবু তাহের জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা সেন্টার পিভট ইরিগেশন (সিপিআই) যন্ত্রপাতি কাস্টমসে অযাচিত হয়রানির শিকার হচ্ছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা যন্ত্রটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা হিসেবে না দেখে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আলাদাভাবে শুল্ক আরোপ করতে চাইছেন। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিঘ্ন ঘটছে এবং আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কৃষিযন্ত্রটি চট্টগ্রাম কাস্টমস-এ আসার পর ১৭ জুন শুল্কায়নের জন্য জমা দেওয়া হয়। এতে শুল্কের পরিমাণ হওয়ার কথা ১২ লাখ ৫ হাজার ৪৬৯ টাকা।
আবু তাহের বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এটিকে বাণিজ্যিক উপকরণ আখ্যা দেওয়ায় শুল্ক ও জরিমানাসহ ৪২ লাখ টাকা দিতে হবে। কাস্টমসে আটকে থাকায় প্রতি মাসে চার লাখ টাকার ক্ষতি গুনতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জে ভূ-উপরিস্থ পানি কাজে লাগাতে যে সেচ উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তাতে এই যন্ত্র অপরিহার্য। কাস্টমসের অসহযোগিতা চলতে থাকলে প্রকল্পটি ভেস্তে যেতে পারে, যোগ করেন তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শেরপা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক রুহুল আমিন, প্রকল্প ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান।