প্রথমে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি, এরপর মুশফিকুর রহিম অবসর নিয়েছেন ওয়ানডে থেকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন খেলছেন কেবল টেস্ট ক্রিকেটটাই। যদিও বিপিএল, ডিপিএলের মতো সাদা বলের ঘরোয়া ক্রিকেটে তার দেখা মেলে নিয়মিতই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আসন্ন এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সিলেট বিভাগের হয়ে খেলবেন অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার ব্যাটার। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে মুশফিকের অভিজ্ঞতার ওপরই ভরসা রাখছেন দলটির কোচ রাজিন সালেহ।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির গত আসরে সিলেটের হয়ে জাকির হাসান, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদের মতো জাতীয় দলের তারকারা। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করে আলো কেড়েছিলেন জিশান আলম। তবুও দুই ম্যাচের বেশি জিততে পারেনি দলটি। টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে থেকে।
তবে এবার সেই দৈন্যদশা থেকে সিলেটকে মুক্তি দিতে চান সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির চুক্তিভূক্ত কোচ রাজিন সালেহ। এবারও সিলেটের দায়িত্ব পাওয়া এই কোচ আসন্ন এনসিএলে ভরসা খুঁজতে চান অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের ওপর।
টাইমস অফ বাংলাদেশ-কে এই স্থানীয় কোচ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আশা করি আমরা জাকির হাসানকে আবার পাব। এবার নতুন করে যোগ হয়েছে মুশফিকুর রহিম। এটা আমি মনে করি, সিলেটের ক্রিকেটারদের জন্য অনেক বড় অপরচুনিটি। এবং মুশফিকের মতো লেজেন্ডারি, এক্সপেরিয়েন্সড প্লেয়ারের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করতে পারবে ইয়াং ছেলেরা। একটা কোচ থেকে যতটা না শিখতে পারবে, মুশফিকের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি করে শিখতে পারবে। তার কথার গ্রহণযোগ্যতা বেশি থাকবে।’
ইতোমধ্যে এনসিএল টি-টোয়েন্টির জন্য প্রাথমিক দল বাছাই করে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের কাছে পাঠিয়েছে সিলেট বিভাগীয় দল। আগামী ১৫ আগস্ট শুরু হবে ফিটনেস ক্যাম্প। রাজিনের এবারের প্রত্যাশা গত আসরের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলা, ‘সিলেট ডিভিশন নিয়ে প্রস্তুতি এখনো শুরু হয়নি। আগামী ১৫ তারিখ থেকে ফিটনেস ক্যাম্প শুরু হবে। আশা করব গত আসরে ৬ নম্বর হয়ে শেষ করেছিলাম, এবার এটা যেন না হয়। এটা নিয়ে কাজ করব।’
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর শেষ হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি। সিলেট, রাজশাহী ও বগুড়া; এই তিন ভেন্যু মিলিয়ে অনুষ্ঠিত হবে আট দলের এই টুর্নামেন্ট।