মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে চলছে ফিটনেস ক্যাম্প। মঙ্গলবার নাথান কেলির অধীনে ফিটনেস ক্যাম্পে বেশিরভাগ ক্রিকেটার সকালে এলেও পেসার নাহিদ রানা এলেন বেশ দেরিতে। বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির এই বোলার কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে সোজা এসে বসে পড়লেন আইস বক্সের ওপর। ততক্ষণে সেশন প্রায় শেষ। শরীফুল ইসলাম-তাসকিন আহমেদরা ঘেমে নেয়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত, তৃষ্ণার্ত।
ফিটনেস সেশনে দেরিতে এলেও নাহিদের শারীরীক সক্ষমতা নিয়ে ট্রেনার নাথানের কোনো সংশয় নেই। দুদিন আগে জাতীয় স্টেডিয়ামে হওয়া ১৬০০ মিটারের দৌড়ে প্রথম হয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। সংবাদ কর্মীদের সাথে আলাপকালে অস্ট্রেলিয়ান এই ট্রেনার নাহিদের বেশ প্রশংসাও করলেন। এর ঘণ্টা দেড়েক পর নাহিদের দেখা মিলল একাডেমি মাঠের নেটে।
২৭ নম্বর নেটে বল করেছেন ফুল রান আপে। মিডিয়া প্লাজা থেকে দাঁড়িয়ে দেখে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই লম্বা মনে হলো রান আপের দৈর্ঘ্য। ইয়র্কারটা রপ্ত করার চেষ্টা করছিলেন এই দীর্ঘদেহী পেসার। যদিও লেংথ মিস করেছেন বেশ কয়েকবার। তুমুল গতির বল ব্লকহোলে না পড়ে পিচ করল হাফ ভলিতে। পরের বলটা করলেন গুড লেংথে; পেসারদের সবচেয়ে কার্যকরী। এরপরেও তুমুল গতির বেশ কয়েকটা ইয়র্কার ছুটে গেছে তার হাত থেকে। সেসবে অবশ্য লেংথ মিস করেননি।
উইকেট বরাবরই পিচ করিয়েছেন ইয়র্কার লেংথে। যদিও দুই একটা ইয়র্কার লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে দিয়ে গেছে। গুড লেংথ আর ইয়র্কার মিলিয়ে বল করার নেপথ্যে আছে ম্যাচের বিবেচনায় নাহিদের পরিকল্পনা। টানা বোলিংয়ের মাঝেই বল বদলে নিচ্ছিলেন। তুলনামূলক নতুন বলে নাহিদ করছিলেন লেংথ ডেলিভারি। আর পুরনো বলে ইয়র্কার।
টেস্টে প্রায় নিয়মিত হলেও সাদা বলের ক্রিকেটে খুব একটা দেখা যায়নি তাকে। দেড় বছরের ছোট্ট ক্যারিয়ারে ৯ টেস্টের সাথে খেলেছেন ৪ ওয়ানডে। টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে ২০২৫ সালের মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। অভিষেকে দুই উইকেট পেলেও রান খরচা করেছিলেন ৫০। সেই ম্যাচে বল করেছেন পাওয়ারপ্লে, মিড ওভার আর ডেথ ওভারে। আসন্ন এশিয়া কাপও সংযুক্ত আরব আমিরাতেই। এশিয়া কাপের মূল স্কোয়াডে থাকার জন্য তাকে লড়তে হবে বাকি পেসারদের সাথে। সেজন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে ব্যক্তিগত অনুশীলনকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন এই তরুণ পেসার।