রাজধানীর ওয়ারীর হাটখোলা রোডে এক কিশোরকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর আগে রাতেই পুলিশ ও স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে দুই হামলাকারীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন।
ঘটনাস্থল থেকেই দুই হামলাকারী- আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯)- কে আটক করে পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যায়।
সোমবার দুপুরে ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ টাইমস অব বাংলাদেশকে জানান, ভুক্তভোগী কিশোর সৈয়দ রেদোয়ান মাওলানার মা রাশিদা মণ্ডল থানায় একটি মামলা করেছেন। সকালে আটক দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ওয়ারীর হাটখোলা ইলিশিয়াল ভবনের পেছনের গলিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কিশোরের নাম সৈয়দ রেদোয়ান মাওলানা, বয়স ১৭ বছর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই কিশোরকে একটি সংঘবদ্ধ দল প্রথমে মারধর করে। মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে ৬-৭ জন যুবক তার মাথায় বারবার আঘাত করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করতে উদ্যত হলে স্থানীয় অন্তত ৫০-৬০ জন বাসিন্দা ও দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট দ্রুত এগিয়ে গিয়ে হামলাকারীদের প্রতিহত করেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, কারণ আমরা আর নিরব থাকতে চাই না। সোহাগের ঘটনার পর আমাদের বিবেক জেগে উঠেছে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আটক দুই যুবকের দিকে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছে, ‘তোদের মতো লোকদের কারণেই দেশটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তোদের আর ছাড় নেই।’
মিটফোর্ডের সোহাগ হত্যা মামলায় নীরবতা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, এবার আর জনতা নীরব থাকেনি, সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এ ধরনের প্রতিরোধই পারে সমাজে নিরাপত্তা ও সচেতনতা ফিরিয়ে আনতে।