এনসিপি আত্মঘাতী পথে ধাবিত হচ্ছে: টিআইবি

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read

অনিয়মের বিদ্যমান সংস্কৃতি ধারণ করে আত্মঘাতী পথে ধাবিত হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি বলছে, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অংশ হিসেবে সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত, জনগণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এনসিপির বিকশিত হওয়ার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা প্রশ্নবিদ্ধ। অর্থের উৎসের অস্বচ্ছতা, দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, অনিয়মের বিদ্যমান সংস্কৃতি ধারণ করে আত্মঘাতী পথে ধাবিত হচ্ছে দলটি।’

সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে এসব কথা বলে সংস্থাটি।

সোমবার দুপুরে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে ঢাকার ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতির কোনো মৌলিক পরিবর্তন হয়নি। চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি চলমান। রাজনৈতিক দলগুলোতে কার্যকর কোনো সংস্কার হয়নি।’

তিনি মনে করেন, ‘নির্বাচনকালে মব সন্ত্রাস উদ্বেগ তৈরি করছে। যারা এখন নিজেদেরকে ক্ষমতায়িত ভাবছে, সুতরাং তারা যা চাইবে তাই হবে এটাই কর্তৃত্ববাদী আচরণ। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কিংস পার্টি গঠনের অভিযোগ রয়েছে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে উল্লেখ করে বলা হয়, তাদের সঙ্গে সরকারের দুজন উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপি গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

নির্বাচনের তারিখ, সংস্কার ও অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস, সন্দেহ, বিতর্ক ও সহনশীলতার ঘাটতিতে সংস্কার ও নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে, যোগ করেন তিনি।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘নির্বাচন, সংস্কার, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান অনড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন, মতাদর্শিক লড়াই ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব রয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য সত্ত্বেও যেসব সংস্কারে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর সাংবিধানিক ও আইনি বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, সে প্রশ্ন এখনো অনিশ্চিত। ফলে সংস্কারের আশায় ধাক্কা লাগতে পারে, রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *