বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজারে প্রবেশের লক্ষ্যে হালাল শিল্প পার্ক গড়ে তুলতে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরে হোটেলে মালয়েশিয়ার হালাল শিল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এখনই কাজ শুরু করা যেতে পারে।’
মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হালাল বিষয়ক সমন্বয়ক দাতিন পদুকা হাজাহ হাকিমাহ বিনতি মোহদ ইউসুফ। উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট মালয়েশিয়ার মহাপরিচালক সিরাজুদ্দিন বিন সুহাইমি ও হালাল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাইরোল আরিফেইন সাহারি।
কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজারের বর্তমান মূল্য ৩ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৫ ট্রিলিয়নে পৌঁছাতে পারে। অন্তত ১৪টি হালাল শিল্প পার্ক পরিচালনাকারী মালয়েশিয়ার বাজার দখল উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য প্রধান দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
অবকাঠামো ও সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা জোরদার করতে পারলে হালাল পণ্যের এ বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনই একমাত্র অনুমোদিত সংস্থা, যারা হালাল পণ্যের সনদ দেয় এবং এখন পর্যন্ত মাত্র ১২৪টি প্রতিষ্ঠানকে সনদ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন মালয়েশিয়ার পক্ষকে বাংলাদেশে হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়তে প্রয়োজনীয় শর্ত নির্ধারণে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘হালাল পণ্যের শিল্প গড়তে কী প্রয়োজন, তা আমরা একসঙ্গে নির্ধারণ করতে পারি।’
তিনি জানান, অনেক বাংলাদেশি কোম্পানি হালাল-সনদপ্রাপ্ত পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহী।
মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকটিকে একটি মূল্যবান শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা বলে মন্তব্য করেন।
দিনের শুরুতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া হালাল ইকোসিস্টেমে সহযোগিতার বিষয়ে একটি নোট বিনিময় করেন।
সিরাজুদ্দিন বিন সুহাইমি জানান, মালয়েশিয়া শিগগিরই বাংলাদেশের চাহিদা মূল্যায়নে একটি দল পাঠাবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, জ্বালানি উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুফতে সিদ্দিকি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ।
–