শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের সকল ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, এক বছরে তা ঠিক করা সম্ভব নয়।
রোববার সকালে নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই দেশের পুলিশ-প্রশাসনসহ সব সেক্টর ভেঙে পড়েছে। এমন সময় শ্রমিকরা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন গার্মেন্টস ও জনশক্তি রপ্তানি করে আয় করছে। এই দুটি খাতকে টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি নতুন রপ্তানিমুখী খাত তৈরি করতে হবে। শিপ বিল্ডিং (জাহাজ নির্মাণ) একটি সম্ভাবনাময় খাত, যা নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে।’
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের প্রাপ্য সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেন না। আমি তাদের উদ্দেশে প্রায়ই বলে থাকি, অনেকে আমার কথায় রাগ করেন।‘
দেশের অনেক শিল্প-মালিক আছেন যারা টাকা চুরি করার জন্য কারখানা করেন। শ্রমিকদের দেখাশোনা না করে নিজেরা দেশ থেকে পালিয়েছেন। এ কারণে আমাকে কঠোর হতে হচ্ছে, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে দিয়েছি। তারা যেখানেই থাকুক, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে বাড়ি কারখানা বুঝে নিক। না পারলে সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিক।’
নাটোর জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের পুলিশ সুপার মো. আমজাদ হোসেন, সিভিল সার্জন মো. আরেফিন সিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবুল হায়াত এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।