জাতীয় লিগের চার দিনের চারদিনের ভার্সন কিংবা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট; কোথাও উন্নতি নেই বরিশাল বিভাগের। লাল বলের ফরম্যাটে শেষ তিন মৌসুম শেষ করেছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। গত বছরে আট দলের এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে শেষ করেছে সবার নিচে থেকে। এসবের সাথে দলীয় কলহের প্রভাবেও টালমাটাল বিভাগীয় এই দলটা। সামনে এসেছে বরিশালের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার ফজলে মাহমুদ রাব্বী ও সোহাগ গাজীর দ্বন্দ্বের কথা। যা নিয়ে বিব্রত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)
জানা গেছে, জাতীয় দলের সাবেক এই দুই ক্রিকেটারের নেতৃত্বে বরিশালের বিভাগীয় দলের আলদা দুটো কোরাম গড়ে উঠেছে। মূলত এই দ্বন্দ্বের কারণেই গত বছর জাতীয় লিগের চারদিনের ভার্সনের মাঝপথে দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েন রাব্বী। বদলি অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। সেখান থেকে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেন সোহাগ গাজী।
এদিকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর। সিনিয়র ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্ব, দলীয় কোরাম, দল নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি-সহ নানান অভিযোগে ঘরোয়া ক্রিকেটের নতুন মৌসুম শুরুর আগে এই অস্বস্তির হাওয়ায় আরো একবার তোলপাড় বরিশাল।
এসব নিয়ে অভিযোগ পেয়েছেন বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানও। বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক জানিয়েছেন, দল নির্বাচন ও যাবতীয় বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে কোচ-ম্যানেজারদের আলাদা করে নির্দেশনা দেবেন তারা। তাতেও কাজ না হলে আরো কঠোর পথে হাঁটবে বিসিবি।
জানা গেছে, বরিশালের সাবেক অধিনায়ক রাব্বীর বিপক্ষে সবসময় অবস্থান ছিল দলের একটি অংশের। তার বিরুদ্ধে এসেছে দল নির্বাচনে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও। তবে এ নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চাননি রাব্বি। এই বাঁহাতি ব্যাটার জানিয়েছেন, তরুণ কাউকে সুযোগ করে দিতেই দায়িত্ব ছেড়েছেন তিনি।
অবশ্য রাব্বী দৃশ্যপট থেকে সরে গেলেও থেকে গেছে দলীয় জটিলতা, বিশেষত বরিশালের বিভাগীয় দল নিয়ে। নিয়ামানুযায়ী বিভাগীয় কোচ বিসিবিতে ৩০ সদস্যের দল পাঠান। সেই তালিকা থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর স্কোয়াড চূড়ান্ত করেন জাতীয় নির্বাচক প্যানেল। কিন্তু বরিশাল দলের সূত্রে জানা গেছে, অধিনায়ক সোহাগ গাজী নিজেই ৩০ সদস্যের দল গঠন করেছেন, যার মধ্যে তিন-চারজন ক্রিকেটারের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে দলের মধ্যেই আছে অসন্তোষ। সোহাগ গাজী অবশ্য একা হাতে দল গঠনের কথা অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, দল গঠনে কোচকে পরামর্শ দিয়েছেন কেবল।
বরিশাল দলের এই টালমাটাল অবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে, টুর্নামেন্ট কমিটির শনিবারের সভায়। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রোগ্রাম হেড মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, বরিশাল দলের এহেন কর্মকান্ডে বিসিবি বিব্রত। তিনি মনে করেন, দলীয় বিশৃঙ্খলার জন্যই মাঠের পারফরম্যান্সে তাদের তলানিতে।