বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র রাজনীতি এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে শাড়ি ও চুড়ি দিয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে, বেরোবির পরিচালক অধ্যাপক ইলিয়াস প্রামাণিক এবং প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমানের অনুপস্থিতিতে তাদের চেয়ারগুলোতে শাড়ি জড়িয়ে এবং টেবিলে চুড়ি রেখে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নোংরা ছাত্র রাজনীতির কারণে আমরা আবু সাঈদকে হারিয়েছি। এ ক্যাম্পাসে আর কোনো শিক্ষার্থীকে আমরা হারাতে চাই না।’
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন তাদের প্রশ্রয় দিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম চালানোর সাহস দিয়েছে।
এসময়, প্রশাসনকে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে চাইলে প্রশাসন নিজেদের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে আমাদের ওপর ছেড়ে দিন।’ শিক্ষার্থীরা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিও জানান।
শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান, রোবায়েদ হাসান, রুম্মানুল ইসলাম রাজসহ অন্যরা বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন।
বেরোবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী জানান, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।’
এদিকে, বেরোবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ও চলতি বছরের ১৫ এপ্রিলের অফিস আদেশ অনুযায়ী ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে ১১১তম সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা হয়।