ফেনীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণে সাত হাজার ৩৪০ কোটি টাকার প্রকল্প নিতে যাচ্ছে সরকার। সংশ্লিষ্টদের আশা, এতে প্রতিবছরের বন্যার দুর্ভোগ লাঘব হবে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম শনিবার ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বাঁধ নির্মাণের ওই প্রকল্প পরিকল্পনার কথা জানান।
মৌসুমী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া, ফেনী সদরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে অন্তত ৩৪ হাজার ৬০০ মানুষ। ক্ষণস্থায়ী বাঁধের কমপক্ষে ২৩টি স্থান ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে ১১২টি গ্রাম। বিদ্যুৎ সংযোগ, নেটওয়ার্কবিহীন এলাকায় অশেষ ভোগান্তিতে পড়েছেন বন্যার্তরা।

স্থানীয়রা জানান, এখন ধীরে ধীরে পানি নামার পর, পরিষ্কার হয়ে উঠছে বন্যার ক্ষতির চিত্র। পরশুরামে পানিতে ধসে পড়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। ফুলগাজীতে রোপা আমন ধান পানিতে পচে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো কৃষক।
বন্যায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা। এসব অঞ্চলে দূর্গত অনেকে জীবিকা হারিয়ে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বেগে রয়েছেন। সুপেয় পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশনের অব্যবস্থাপনার কারণে ডায়রিয়া, কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিও রয়েছে সেখানে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও ওরস্যালাইন দেওয়া হলেও দুর্গতদের অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই অপ্রতুল।
স্থানীয়দের দাবি, বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে, সাময়িকভাবে নগদ অর্থ, স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী, ঘরবাড়ি মেরামতের উদ্যোগ, পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার, খাদ্য উৎপাদন, কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা জরুরি। তাছাড়া তারা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।