দিনাজপুরে পৃথক দুটি সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ২০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে বলা হয়, বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, সোমবার রাতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ওই ২০ জনকে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্তে অবস্থানরত বিজিবির টহলদল ১৩ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে দুইজন নারী, দুইজন পুরুষ এবং নয়জন শিশু রয়েছে বলেও তিনি জানান।
অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দুরিয়া সীমান্তে বিজিবির টহলদল আরও সাতজনকে আটক করে। এদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন নারী, দুইজন পুরুষ এবং তিনজন শিশু।
এদিকে, ৩ জুন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ভারত থেকে বাস্তবিক অর্থে পুশইন ঠেকানো সম্ভব নয়। দুই দেশের বিদ্যমান কনস্যুলার সংলাপের মাধ্যমে এ সমস্যাকে একটা প্রক্রিয়া অনুযায়ী সুরাহা করা যায় কি না, সে বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৭ মে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছিলেন, পুশইন বা পুশব্যাক কোনো আইনসম্মত পদ্ধতি নয়। আমরা ভারতের মতো কাউকে পুশইন করি না, আমরা কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রায়মঙ্গল নদী ও বয়েসিং খালের সংযোগস্থলে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি পরিচয়ে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত মানুষজনকে পুশইন করছে। সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী। আমরা সবসময় আন্তর্জাতিক আইন ও প্রটোকল অনুসরণ করে আসছি।’