সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় হাবিবুল আউয়ালকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন শপথ নেয়। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে ‘আমি-ডামি ভোট’ বলে পরিচিতি পায় তার নেতৃত্বাধীন কমিশন। ভোটের হার নিয়ে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য কমিশনটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
ভোটগ্রহণের দিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য দিলেও মাত্র এক ঘণ্টা পর তা বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ দেখানো হয়। এমনকি সিইসি নিজেই প্রথমে ২৮ শতাংশ বললেও পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশ দাবি করেন।
এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (২২ জুন) বিএনপির পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার— কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হাবিবুল আউয়াল কমিশন চাপে পড়ে। নতুন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তিনি গণমাধ্যমে একটি খোলা চিঠি লেখেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর কমিশনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি পদত্যাগ করেন এবং লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান।
এর আগে একই মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।