চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আন্দুল্লাহ আল মুমিন এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
আদেশে বলা হয়, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাধীন মীরের হাট থেকে এগারো মাইল সাবস্টেশন পর্যন্ত এবং উপজেলা গেইট থেকে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, হাটহাজারী পর্যন্ত রাস্তার উভয়পার্শ্বে এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় শনিবার রাত ১০টা থেকে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ওই সময়ে উল্লিখিত এলাকায় সকল প্রকার সভা সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সকল প্রকার দেশি অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’
এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে এক যুবকের আপত্তিকর ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে হাটহাজারী উপজেলায় জসনে জুলুসের ব্যপক সংখ্যক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক অবরোধ করে রাখে দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে অভিযুক্ত আপত্তিকর ফেসবুক পোস্টদাতা আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবককে আটক করে জেলা পুলিশ।
অভিযোগ উঠেছে, জশনে জুলুসে যাওয়া গাড়িবহরের ওই যুবক হাটহাজারী বড় মসজিদ লক্ষ্য করে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করে একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও কওমি লোকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
সন্ধ্যার পর মাদ্রাসার ছাত্ররা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড ভাঙচুর চালানো হয়।
অপরদিকে অন্য পক্ষ সড়কে অবস্থান নিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙচুর ও মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল বিনিময় হয়। ক্ষুব্ধ মাদ্রাসা ছাত্ররা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।