সেপ্টেম্বরে বহুল প্রত্যাশিত কোয়াব নির্বাচন

টাইমস স্পোর্টস
3 Min Read
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হতে যাচ্ছে কোয়াব নির্বাচন। ছবি: সংগৃহীত

মাঠে ক্রিকেটের তেমন ব্যস্ততা নেই। শ্রীলংকায় দীর্ঘ সিরিজ শেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা আপাতত বিশ্রামে। তবে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে কিছু না কিছু হতেই থাকে। ব্যক্তিগত অনুশীলন সারতে আসেন ক্রিকেটাররা। এরই মাঝে বুধবার দুপুরে হোম অফ ক্রিকেটে বিশেষ এক বৈঠকে একত্রিত হন দেশের শীর্ষ সারির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। উদ্দেশ্য ‘ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ’-এর (কোয়াব) নির্বাচন। 

দুপুরের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রিকেটার টাইমস অফ বাংলাদেশকে জানান, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের ৪ অথবা ৫ তারিখ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কোয়াব নির্বাচন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পদত্যাগ করেন দীর্ঘদিনের কোয়াব  সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয় ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল দেবু। যদিও পরবর্তীতে চলতি বছরে মার্চে ঘোষিত ১৩ সদস্যের এড-হক কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। 

এড-হক কমিটিতে আছেন, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন, নিয়ামুল রশিদ রাহুলের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। এছাড়া আট বিভাগের ক্রিকেটারদের প্রতিনিধিত্ব করছেন আরাফাত সানি (ঢাকা), ইরফান শুক্কুর (চট্টগ্রাম), কামরুল ইসলাম রাব্বি (বরিশাল), নাজমুল হোসেন শান্ত (রাজশাহী), নাঈম ইসলাম (রংপুর), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (ময়মনসিংহ) ও জাকির হাসান (সিলেট)। 

নির্বাচনের জন্য সেপ্টেম্বরকেই আদর্শ মনে করছে কোয়াবের এড-হক কমিটি। কোয়াব সুত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফিটনেস টেস্টের জন্য সব ক্রিকেটারই ঢাকা থাকবেন। সেই হিসেবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন দিতে যাচ্ছে কোয়াব। মঙ্গলবার কোয়াবের বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক ক্রিকেটার টাইমস অফ বাংলাদেশকে বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের ৪ অথবা ৫ তারিখে নির্বাচনের কথা ভাবছি আমরা। কারণ বেশিরভাগ ক্রিকেটারই এনসিএলের ফিটনেস টেস্টের জন্য তখন ঢাকায় থাকবে। এড-হক কমিটির একজন সদস্য এই তথ্যটা নিশ্চিত করেছেন। যদিও বাকি সদস্যদের মতামত এখনো নেয়া বাকি।’ 

দীর্ঘদিন কোয়াবের নির্বাচিত কমিটি না থাকায় ক্রিকেটাররা হতাশ হলেও আসন্ন নির্বাচনের আমেজ ছুঁয়ে যাচ্ছে তাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ক্রিকেটার বলেন, ‘অনেকদিন পর আবার নির্বাচন আসছে, এটা ভেবে অনেকেই বেশ রোমাঞ্চিত। যদিও অতীত নিয়ে পড়ফে নেই কেউই। আসল ব্যাপার হচ্ছে, কোয়াবে আমরা এমন কাউকে চাই না, যে কেবল নিজেকে নিয়েই পড়ে থাকবে। আমরা চাই ক্রিকেটারদের জন্য কাজ করবে এমন মানুষ।’

বৈঠকে ক্রিকেটারদের কথা হয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েও। কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, এই ব্যাপারেও প্রছন্ন একটা ধারণা পাওয়া গেল আরেক ক্রিকেটারের কথায়। যদিও ভোটিংয়ের প্রক্রিয়া নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে তাদের। টাইমস অফ বাংলাদেশকে আরো এক ক্রিকেটার বলেন ‘নির্বাচনে কারা ভোট দিতে পারবে, কারা পারবে না; এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মধ্যে থেকে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় কিনা, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। অবশ্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেই আজ ছিলেন না, তাই কেউই খুব বেশি আগ্রহ দেখায়নি। অনেকেই হয়তো ভেবেছে, এখনও সময় আসেনি। আমরা আরো একটা বৈঠকে বসব আশা করি।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *