ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ সমাবেশের মাধ্যমে বড় ধরণের শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।
শনিবার বেলা ২টায় শুরু হবে জামায়াতের এ ‘জাতীয় সমাবেশ’। এতে ১০ লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতি থাকবে বলে মনে করছেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের চুড়ান্ত প্রস্তুতি পরিদর্শন করে শুক্রবার দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আল্লাহর ওপর ভরসা করেই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান শেষ করতে চাই। রাজধানীবাসীর কাছে আগাম দুঃখপ্রকাশ করছি, যানজট হলে তাদের সকলের কষ্ট হবে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যেন ভোগান্তি কম হয়।’
বড় সমাবেশ করতে জামায়াত ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে। জনসমাগম বাড়াতে ১০ হাজারের বেশি বাস, একাধিক স্পেশাল ট্রেন এবং নৌযান রিজার্ভ করা হয়েছে। রাতেই অনেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন সমাবেশে অংশ নিতে।
মূলত সাত দাবি নিয়ে জামায়াত এ জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করছে। দাবিগুলো হলো- ২০২৪ সালের ৫ আগস্টসহ পূর্ববর্তী গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা। রাষ্ট্রের সর্বস্তরে মৌলিক সংস্কার আনা। ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
জামায়াত নেতারা জানান, এই সমাবেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের প্রতিনিধিরা সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সমাবেশের মাঠে প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবে বিশেষ পোশাকে। এছাড়া ১৫টি মেডিকেল বুথ, জরুরি ওষুধ এবং অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা থাকবে। সমাবেশের সম্পূর্ণ কার্যক্রম ড্রোন ও আধুনিক ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করা হবে। ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করা হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ট্রাফিক, নিরাপত্তা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরেই আমরা সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হলেও যেন সমাবেশে অংশগ্রহণকারী মানুষের কষ্ট না হয়, সে জন্য আমাদের কর্মীরা আগে থেকেই সব ব্যবস্থা নিয়েছে। নিরাপত্তা, সেবাপ্রদান ও শৃঙ্খলার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক।’