মিটফোর্ড হত্যা: মুনির ও আলমগীর সরাসরি জড়িত, বলছে র‌্যাব

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
প্রেস ব্রিফিং করছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া
Highlights
  • ওই ঘটনা তদন্তে সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করেছে।

পুরনো ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী লালচাঁদকে পিটিয়ে ও মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন লম্বা মুনির ও আলমগীর। র‌্যাব বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ওই দুজনকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে দেখা গেছে। শুক্রবার রাতে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এছাড়া পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান শনিবার সকালে বাহিনীর মিডিয়া সেলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, ওই ঘটনা তদন্তে সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করেছে।

ডিজি র‌্যাব বলেন, ‘ঘটনার সাথে জড়িত সকল দোষী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি আমাদের অভিযান চলমান আছে।’

তবে তিনি গ্রেপ্তারকৃতদের দলীয় পরিচয় দেননি। ওই হত্যাকাণ্ডকে ‘লোমহর্ষক’ উল্লেখ করে ডিজি র‌্যাব সরকারের কাছে এর দ্রুত বিচার দাবি করেন।

এদিকে, পুরনো ঢাকার ওই হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা  আসিফ নজরুল।

শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সরকার মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।’

তিনি জানান, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২-এর ধারা ১০ অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করা হবে।

নজরুল বলেন, ‘এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চাঁদাবাজী নিয়ে বিরোধের জেরে বুধবার সন্ধ্যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগ নামের ওই ব্যবসায়ীকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ক্ষোভের বিস্তার ঘটে।

এর প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল হয়। একইদিন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি মশাল মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। খুলনায় বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মাহবুব রহমান হত্যাসহ সাম্প্রতিক সহিংসতা ও খুনের ঘটনাগুলোরও প্রতিবাদ জানানো হয় এ কর্মসূচিতে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী (পিন্টু), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম (লাকি), চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস, এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।

নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *