মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির ১৯ দিন পর হাসপাতাল থেকে একসঙ্গে ছাড়া পেলেন ওই স্কুলের শিক্ষিকা ও ছাত্রী। তারা হলেন- বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষিকা সুমাইয়া রহমান লরিন এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুরী জান্নাত এশা (১১)।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধের পর প্রায় সেরে ওঠায় রোববার সকালে তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এশা। তার মুখমণ্ডল ও দুই হাতের কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে যেতে পেরে ভীষণ খুশী সে।
শিক্ষিকা লরিনের মুখমণ্ডল ও দুই হাতসহ দগ্ধ হয়েছিল প্রায় ১৮ শতাংশ। তিনি ফিরলেন উত্তরার দক্ষিণখানের বাসায়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে দগ্ধ হয়ে এখনও ২৪ জন ভর্তি আছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ জন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন একজন।
নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে ভর্তি সবাইকে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে তার মেডিকেল টিম।
এসময় আহতদের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান তিনি।
২১ জুলাই দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনায় বিমানের পাইলটসহ এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ জন।