সুযোগ ছিল শ্রীলংকাকে হারিয়ে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জেতার। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া হলো ৯৯ রানের হতশ্রী এক হারে। ২৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল মাত্র ১৯৬ রানে, তাও ইনিংসের ৬২ বল বাকি থাকতে। অধিনায়ক হিসেবে মিরাজের শুরুটা হলো সিরিজ হার দিয়ে। পুর্ণকালীন ওয়ানডে অধিনায়কত্বের প্রথম সিরিজে মিরাজের দলে ছিলেন না মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো সিনিয়ররা। তাদের জায়গা নিয়েছেন শামীম পাটোয়ারী-তাওহিদ হৃদয়রা। তাই তুলনামূলক নতুন এই দলের হাত ধরে ফলাফল আনতে আরো সময় চাইলেন অধিনায়ক মিরাজ।
পাল্লেকেলেতে তৃতীয় ওয়ানডের বাংলাদেশের একাদশে ম্যাচ সংখ্যার বিবেচনায় মিরাজ-সহ সবচেয়ে অভিজ্ঞ চার ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়ররা দৃশ্যপট থেকে সরে যাওয়াতে দলের গুরুদায়িত্ব তাদের ওপরই ন্যস্ত। বাঁচা-মরার ম্যাচে তাদের অভিজ্ঞতার ঝলকও খুব বেশি দেখা যায়নি। এই সিরিজে অভিষিক্ত পারভেজ ইমন, বছর দুয়েক ধরে ওয়ানডে খেলা তানজিদ তামিমও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
অবশ্য দলীয় ব্যর্থতার পরেও ইতিবাচকই থাকছেন মিরাজ। পুরস্কার বিতরণীতে কথা বলতে দল হিসেবে নিজেদের প্রাপ্তির প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের দলটা এখনো অনেক তরুণ। কিছু নতুন ক্রিকেটার এসেছে, তাদের আরো সময় দরকার। আমরা দল হিসেবে সবসময় ইতিচাক থাকার চেষ্টাই করি। এই তরুণ দলটাকে সময় দিন, একদিন সেটার প্রতিদিন দেবেই।’
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৯৯ রানে হারা ম্যাচের ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে মিরাজ জানান, এই উইকেটে বল করা সহজ ছিল না। তাই বোলারদের প্রশংসা ঝরল তার কন্ঠে। মিরাজ বলেন, ‘শেষ ১০ ওভারে আমরা আসলে দারুণ বল করেছি। উইকেটটা ভালো ছিল, তাই বল করাও এত সহজ হয়নি। তাসকিন-মোস্তাফিজুরের সাথে স্পিনাররাও ভালো করেছে। তবে ব্যাটিংয়ে আমরা বেশ কিছু ভুল করেছি। মাঝে বড় কোনো জুটি হয়নি, ওপেনাররাও ভালো শুরু করতে পারেনি। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল আমাদের জন্য।’
আপাতত ওয়ানডের ব্যস্ততা শেষ। আগামী ১০ জুলাই এই পাল্লেকেলেতেই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।