ঢাকার বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় হৃদয় মিয়াজী (২৩) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার হৃদয় মিয়াজী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব বলে জানা গেছে।
র্যাব জানিয়েছে, সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১ ও র্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হৃদয় মিয়াজী কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের দূলব্দী গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে। হত্যার ঘটনার পর হৃদয় ঢাকা থেকে পালিয়ে কুমিল্লা চলে যান। সেখানে মনাইরকান্দি গ্রামে মামা হারুন অর রশিদ সিকদারের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। র্যাব তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সোমবার সেখানে অভিযান চালায়।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারোয়ার জানান, হৃদয় মিয়াজী বনানীর পারভেজ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। র্যাব তাকে গ্রেপ্তারের পর থানায় হস্তান্তর করেছে।
এর আগে, সোমবার সকালে এই হত্যা মামলায় আরও তিন জনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন, আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে বাকবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকার বিরুনিয়া ইউনিয়ন। তার বাবা জসিম উদ্দিন।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতেই নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জন আসামি রয়েছেন।