মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের সংকট ও সমাধান বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) একাংশ। সেখানে আরেকটি গ্রুপ উপস্থিত হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তারা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বায়রার একাংশ। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বায়রার যে অংশ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে তার নেতৃত্বে আছেন বায়রার সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম এবং সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। পূর্ব নির্ধারিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে কিছু সদস্য ফখরুল ইসলামের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। মারপিটের অবস্থা তৈরি হলে তিনি পালিয়ে আশ্রয় নেন পাশের ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) অফিসে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
অপ্রীতিকর ঘটনার পর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে বায়রার দুটি পক্ষ। এক পক্ষের দাবি, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হলে বিএমইটির অনলাইনে ডাটাবেজ সমৃদ্ধ করে অনলাইন সিস্টেমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে হবে। তাহলে কম খরচে কর্মী পাঠানো সম্ভব। আরেকটি পক্ষ বলছে, সরকারের হয়ে মাঠে নামলেও একটি গ্রুপ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে বন্ধ করতে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল ইসলামের সমর্থকরা দাবি করেন, সাজ্জাদ গ্রুপের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা বিগত সময়ে সিন্ডিকেটের হয়ে সক্রিয় ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্নভাবে কাজ করছে। মালয়েশিয়া শ্রমবাজার নিয়ে যাতে আর কোনো সিন্ডিকেট না হয় সেজন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। সিন্ডিকেট বন্ধ হলে খরচ কমে যাবে বলে তিনি অভিমত জানান।
পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বায়রা সদস্য সাজ্জাদ হোসেন ও আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ‘আগে যারা সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন তারা ভারতের স্বার্থকে হাসিল করতে ও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে বন্ধ করতে চায়। তারা ফখরুল ইসলামকে মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করেন।
বায়রার আরেক নেতা মেজবাহ উদ্দিন সেলিম বলেন, মালয়েশিয়ার সরকারের অনুসৃত নীতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের স্বল্প ব্যয় ও নিরাপদ অভিবাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। একটি মহল সরকারকে ভিন্নপথে নিয়ে সংকট তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হলে তারা দায়ী থাকবে।