বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। একই সঙ্গে বিপজ্জনক এলাকা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রসহ নিরাপদ অবস্থানে সরে যেতে বলেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, বান্দরবানে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলেও পানি দ্রুত নিষ্কাশন হয়ে যাওয়ায় কোথাও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়নি। তবে পাহাড় ধসের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় মাতামুহুরী অববাহিকায় (লামা) ৫৫ মিলিমিটার এবং সাঙ্গু অববাহিকায় (বান্দরবান) ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এখনো দু’টি নদীতেই বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সাঙ্গু নদীর বান্দরবান শহর পয়েন্টে বিপৎসীমা হচ্ছে- ১৪ দশমিক ৮০ এমএসএল। কিন্তু সোমবার বেলা ৩টায় এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১০ দশমিক ৫৭ এমএসএল।
অন্যদিকে, মাতামুহুরী নদীর লামা শহর পয়েন্টে বিপৎসীমা হচ্ছে ১১ দশমিক ৮০ এমএসএল। সোমবার বেলা ৩টায় এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭৮ এমএসএল।
থেমে থেমে তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
ফলে ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের ঢাল এবং বিপজ্জনক এলাকায় বসতি স্থাপনকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রসহ নিরাপদ অবস্থানে সরে আসার জন্য মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবানস্থ নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, লাগাতার না হয়ে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলে এই মৌসুম বান্দরবান ও লামা শহরে জলাবদ্ধতা বা বন্যার আশঙ্কা কেটে যেতে পারে।