সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। প্লাবিত হয়েছে দুই জেলার বহু নিম্নাঞ্চল।
ফেনীতে ২৪ ঘণ্টায় ২৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস, যা চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ। লাগাতার বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়।
ফুলগাজীর শ্রীপুর রোড এলাকায় মুহুরী নদীর পাড় ভেঙে দুটি দোকান নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
ফেনী শহরের রামপুর, শাহীন অ্যাকাডেমি রোড, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, পেট্রো বাংলা এলাকা ও শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।
রিকশা ও অটোরিকশার সংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক যাত্রীকে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে। নাজির রোড, পাঠানবাড়ি মোড়, শহীদুল্লাহ সড়ক ও মিজান রোড এলাকায় যানজট ও পানিবদ্ধতা দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তোলে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান, সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বাড়ছে, তবে এখনো তা বিপদসীমার নিচে রয়েছে।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী আরও চার-পাঁচ দিন ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।
টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলা শহরেরও বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে পানি জমে গেছে। অনেক বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
বিশেষ করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এলাকা, নোয়াখালী প্রেসক্লাব, জজ কোর্ট এলাকা, নোয়াখালী পাবলিক কলেজ, কাজী কলোনি, আল ফারুক একাডেমি ও ল’ইয়ার্স কলোনি এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকলে প্লাবন পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।