পঞ্চগড় সীমান্তে ২৩ জনকে পুশ ইন

টাইমস ন্যাশনাল
2 Min Read
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই স্কেচ/টাইমস

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বুধবার গভীর রাতে পঞ্চগড় জেলার দুটি সীমান্ত দিয়ে এসব বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠানো হয়। এর মধ্যে বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে রাত ১টার দিকে ১৭ জন এবং সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের শিংরোড সীমান্ত দিয়ে রাত ৩টার দিকে আরও ছয়জনকে পুশ ইন করে বিএসএফ।

বিজিবি জানায়, সীমান্তে ঢোকার পরপরই তাদের আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর ও বোদা থানার কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, আটজন নারী এবং আটজন শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা জানান, বোদা সীমান্তের ৭৭৪ নম্বর মেইন পিলারের ১০ নম্বর সাব–পিলার থেকে প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে দাড়িয়ার মোড় এলাকা থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়। ভারতের ১৩০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কুটিলা ক্যাম্প থেকে তাদের ঠেলে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে সদর উপজেলার শিংরোড সীমান্তে ৭৬৪ নম্বর মেইন পিলারের ১২ নম্বর সাব–পিলার থেকে প্রায় ২০০ গজ ভেতরে ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা থেকে ছয়জনকে আটক করে বিজিবি। তাদের পাঠিয়েছে ভারতের ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের খয়েরবাড়ি ক্যাম্প।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, তারা বাংলাদেশি নাগরিক হলেও দীর্ঘদিন ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছিলেন। সম্প্রতি গুজরাট ও দিল্লি থেকে তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ। পরে বিমানে ও বাসে করে সীমান্তে এনে রাখা হয়। এরপর বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

বিজিবি বলছে, এ ঘটনায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ হিল জামান বলেন, ‘পুশ ইন করা ছয়জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। তথ্য যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বোদা থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, ‘বিজিবির হস্তান্তর করা ১৭ জনের বিষয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।’

এর আগে, চলতি বছরের ১৬ মে থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত বিএসএফ পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আরও ১১৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *