নোয়াখালীতে নতুন করে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত

টাইমস রিপোর্ট
1 Min Read
নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর বেশ কয়েকটি গ্রাম। ছবি: টাইমস

টানা চার দিনের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের পর নোয়াখালীতে রোদের দেখা মিলেছে। এতে জলাবদ্ধ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর, দুর্গাপুর ও লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে পানি বেড়েছে।

শনিবার সকাল থেকে জেলার সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটের বিভিন্নস্থানে খুব ধীর গতিতে পানি কমছে। বেশিরভাগ এলাকায় এখনো বন্যার পানি জমে থাকায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে ৪৬ হাজার ৭০টি পরিবারের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫টি বসতঘর।

স্থানীয়দের অভিযোগ,পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব ও এবং পানি নিষ্কাশনের নালা ও জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর এ দুর্ভোগ।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে তেমন কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।’

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি গ্রামে পানি বাড়ার বিষয়ে আমার জানা নেই।’

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পাঁচটি উপজেলায় ৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ৮৫০ জন মানুষ এবং ১৭১টি গবাদি পশু। দুর্গতদের চিকিৎসায় ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *