ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সাফ নারী অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের অঘোষিত ফাইনালে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। গোলের বৃষ্টিতে আজ আলো ছড়িয়েছেন সাগরিকা, একাই করেছেন চার গোল। লিগের শীর্ষ দুই দলের এ লড়াই যেন একতরফা দাপটের গল্প হয়ে গেলো লাল-সবুজের মেয়েদের পায়ে।
ম্যাচের মাত্র অষ্টম মিনিটেই স্কোরশিটে নাম লেখান সাগরিকা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫০, ৫৭ ও ৭৭ মিনিটে আরও তিনটি গোল করে ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিক ছাড়িয়ে চতুর্থ গোলও পূর্ণ করেন তিনি। এর মধ্যে ৭১ মিনিটে করা এক গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
এই ম্যাচে চার গোল করে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে নিজের নাম জড়িয়ে রাখলেন সাগরিকা। টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতায় দলকে টেনে নিয়ে গেছেন সামনে।
ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারের পরিকল্পনায় ম্যাচে শুরু থেকেই গোছানো ছিল বাংলাদেশ। হাই লাইনে রক্ষণ উঠিয়ে, পজেশন নির্ভর ফুটবল খেলে একের পর এক আক্রমণ চালায় কৃষ্ণা, মুনকি ও সাগরিকারা। মাঝমাঠে বল ধরে রাখার দারুণ ক্ষমতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ, যার ফলে নেপাল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতেই পারেনি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের লিড ছিল ১-০। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যেন ঝড় তুললেন আফিদারা। গোলের ব্যবধান বাড়ে, আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে ওঠে।ন
নেপাল ম্যাচে মাঝে মাঝে কাউন্টার অ্যাটাকে ভর করে গোল আদায়ের চেষ্টা করলেও বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিলি আকতার ছিলেন অটল প্রহরীর মতো। দুর্দান্ত একাধিক সেভে দলকে সেভ রেখেছেন। এর আগের ম্যাচে বৃষ্টির কারণে কাদামাটির মাঠে যেভাবে নেপাল শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল, আজকের ম্যাচে পরিষ্কার মাঠে সেটার কিছুই দেখা গেল না।
এই জয়ে বাংলাদেশ ছয় ম্যাচে ছয় জয়ে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে শীর্ষে থেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়। টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচেও হারেনি দল।
শেষ বাঁশির পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা দল। কোচ পিটার বাটলারকে কাঁধে তুলে নেয় ফুটবলাররা—সেই দৃশ্য যেন বলে দেয়, মাঠের লড়াইয়ের বাইরে কৌশল ও প্রেরণাতেও এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।