বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় একে অপরের ওপর নির্ভরশীল নয় এবং প্রতিটিই নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে নির্বাচনকে কোনোভাবেই ‘শর্তসাপেক্ষ’ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার চলবে নিজের গতিতে, বিচার চলবে সরকারের ধারাবাহিকতায় যে সরকারই আসুক। তবে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হতে হবে। এটি বিলম্বিত হলে ফ্যাসিবাদী শক্তি সুযোগ নিতে পারে, যা জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে।’
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী অঞ্চলের দুটি আঞ্চলিক শক্তি এবং একটি বৈশ্বিক শক্তি এ অবস্থার সুযোগ নিতে পারে, যা বাংলাদেশকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে ঠেলে দিতে পারে।’
তিনি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বলেছি, আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনা হলে আমরা অংশ নেব। এক্ষেত্রে এক্সট্রা বা স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার একটি সম্ভাব্য পথ। প্রয়োজনে আপিল বিভাগের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।’
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কোনো সাধারণ নাগরিক যদি এই সনদ আদালতে চ্যালেঞ্জ করে, সেটি যেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ না করে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা কমিশনে ৮২৬টি ছোট-বড় সংস্কার প্রস্তাব পেয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ৫১টিতে দ্বিমত দিয়েছে এবং ১১৫টি প্রস্তাবে ভিন্নমতসহ মতামত জানিয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিধানের ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। মৌলিক সংস্কারে প্রায় ঐকমত্য হয়েছে। এখন বাস্তবায়নের পর্যায়ে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই না কোনো অস্থায়ী সমাধান ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ুক। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আপনার দায়িত্ব হলো এটি বাস্তবায়নের একটি গ্রহণযোগ্য, টেকসই ও আইনি পথ খুঁজে বের করা। প্রয়োজন হলে বিকল্প পন্থা বিবেচনায় আনুন।’