দেশ যেন চরমপন্থা-মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয়: তারেক রহমান

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
Highlights
  • তারেক রহমান বলেন, ‘যুগে যুগে নির্ভীক চিত্তে কবি সাহিত্যিকরা মুক্তির কথা বলেছেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে কবিতা আর দেশাত্মবোধক সংগীত ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণার উৎস। স্বাধীনতার পরেও দেশের সব ক্রান্তিলগ্নে কবি-সাহিত্যিকরা আমাদের সচেতন করেছেন।’

বাংলাদেশ যেন কখনো চরমপন্থা বা মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয়, সেই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘এই দেশে চরমপন্থা বা মৌলবাদের অভয়ারণ্যে যেন কোনো দিন পরিণত হতে না পারে, সেটি আমাদের প্রত্যাশা।’

রোববার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিএনপির  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের প্রতি আপনাদের দৃঢ় অবস্থানের সঙ্গে আমাদের বিন্দুমাত্র পার্থক্য নেই। স্বৈরাচারকে বাংলাদেশের মানুষ কিছুদিন আগে বিতাড়িত করেছেন, সেই স্বৈরাচারের পুনর্জাগরণ প্রতিহত করতে আমরাও আপনাদের মতো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

‘আমাদের সঙ্গে হয়তো আপনাদের রাজনৈতিক দর্শন এক না-ও হতে পারে। কিন্তু এটি কোনো সমস্যার বিষয় না। এটিকে কেউ দয়া করে সমস্যা হিসেবে দেখবেন না। বিষয় হচ্ছে যে এই দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবিচল আস্থা প্রকাশের জায়গায় সবাই এক,’ যোগ করেন তিনি।

বিএনপি মিডিয়া সেলের আয়োজনে কবিতা পরিষদের কবি ও সাহিত্যিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান হয়। এ সময় কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কিছু দাবিনামাও তুলে ধরা হয়। কবি-সাহিত্যিকরাও তাদের লেখার স্বাধীনতার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কবি-সাহিত্যিকদের কাছে মানব সভ্যতা বিভিন্নভাবে-বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণী। তারা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অব্যক্ত অনুভূতি প্রকাশের একটি মাধ্যম। আমাদের সুখ-দুঃখ, আন্দোলন-উচ্ছ্বাস প্রতিচ্ছবিও কবি-সাহিত্যিকরা। আমাদের অনেক না বলা কথা অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারেন। সে কারণেই আপনারা অসাধারণ, আমরা সাধারণ।’

তারেক রহমান বলেন, ‘যুগে যুগে নির্ভীক চিত্তে কবি সাহিত্যিকরা মুক্তির কথা বলেছেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে কবিতা আর দেশাত্মবোধক সংগীত ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণার উৎস। স্বাধীনতার পরেও দেশের সব ক্রান্তিলগ্নে কবি-সাহিত্যিকরা আমাদের সচেতন করেছেন।’

দেশে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, জবাবদিহি অবস্থা তৈরি করতে ‘নির্বাচন একান্ত প্রয়োজন’।

এই দেশের মালিকানার একমাত্র দাবিদার সব নাগরিক। এই সত্যটাকে যদি আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, তাহলে মানুষের ভোটাধিকারের প্রশ্নে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, বাকস্বাধীনতা, একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তিনি বলেন।

বিএনপি মিডিয়া সেলের আয়োজনে কবিতা পরিষদের কবি ও সাহিত্যিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান হয়। এ সময় কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কিছু দাবিনামাও তুলে ধরা হয়। কবি-সাহিত্যিকরাও তাদের লেখার স্বাধীনতার কথা বলেন।

কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারির সঞ্চালনায় মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান কবি নুরুল ইসলাম মনি, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমীন, লেখক আবু সাঈদ খান, কবিতা পরিষদের উপদেষ্টা কবি মতিন বৈরাগী, সাধারণ সম্পাদক কবি রেজাউল উদ্দিন স্ট্যালিন, সহ-সভাপতি কবি অনামিকা হক লিলি, কবি এবিএম সোহেল রশীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি শ্যামল জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কবি নুরুন্নবী সোহেল, কবি শাহিন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *