মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আলাস্কার শীর্ষ বৈঠকের পর এখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর নির্ভর করছে রাশিয়ার তিন বছরের আগ্রাসন শেষ করার জন্য একটি চুক্তি নিশ্চিত করা।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, ফক্স নিউজকে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘এখন আসলেই জেলেনস্কির দায়িত্ব এটি এগিয়ে নেওয়া। ইউরোপীয় দেশগুলোকে কিছুটা জড়িত হতে হবে, তবে মূল দায়িত্ব জেলেনস্কির। বৈঠককে আমি দশের মধ্যে দশ দেব।’
আলাস্কার অ্যানকরেজে যৌথ সামরিক ঘাঁটি এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসনে দুই নেতার এ বৈঠক হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার আলোচনার পর ট্রাম্প জানান, তারা ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার চুক্তি করতে পারেননি। যদিও পুতিন দাবি করেন, আলোচনায় একটি ‘বোঝাপড়া’ হয়েছে। বৈঠকের পর দুই নেতা খুব বেশি বিস্তারিত না জানিয়ে একে অপরের প্রশংসা করেন।
পুতিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তারা ইউক্রেন ইস্যুতে এক ধরনের বোঝাপড়ায় পৌঁছেছেন এবং ইউরোপকে সতর্ক করেন যেন এই অগ্রগতিকে ‘বাধাগ্রস্ত না করে।’ ট্রাম্প আরও জানান, শিগগিরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার ফলাফল নিয়ে কথা বলবেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। অনেক বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। কয়েকটি বাকি আছে। চুক্তি হওয়ার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি স্বীকার করেন, ‘আমরা এখনও সেখানে পৌঁছাইনি।’
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আলোচিত আলাস্কা বৈঠক সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে, সেখানে যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতিও আসেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপে সবচেয়ে বড় এই সংঘাত চলছে।
ট্রাম্প–পুতিন আলোচনায় ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের রাখা হয়নি। ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি দৃঢ় অবস্থান নেবে। ইউক্রেনের দিক থেকে শঙ্কা ছিল, কোনো সমঝোতা তাদের ভূখণ্ডের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। তাই আপাতত কোনো সমঝোতা ঘোষণা না এলেও কিয়েভে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে।
২০১৭ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার ঘাঁটিটি সফর করেছেন। তবে এ মেয়াদে এটাই ছিল তার প্রথম আলাস্কা সফর।