বাজেট বৃদ্ধিসহ চারদফা দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সমস্যার সমাধানে আগের ফ্যাসিবাদী সরকারের মতোই দীর্ঘসূত্রতা দেখা যাচ্ছে। অবিলম্বে আলোচনায় বসে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিতে হবে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সাকি আরো বলেন, ‘সরকার আন্দোলনের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে উপেক্ষা করে উপদেষ্টাদের আন্দোলনকেই কেবল ন্যায্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে—এই নীতি অগ্রহণযোগ্য।’
সমাবেশে বক্তারা ভারতের নদী দখলের নীতির প্রতিবাদ জানান এবং পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সাকি আরো বলেন, ‘ভারত নদীতে বাঁধ দিয়ে তার আধিপত্যবাদী মনোভাব দেখিয়েছে, অথচ বাংলাদেশ সরকারগুলো নাগরিকদের পানির অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু তা হতে হবে সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে—দাসত্বের ভিত্তিতে নয়।’
‘দেশে এখন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রয়োজন’ উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে সাকি বলেন, ‘সংস্কারের একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দিন এবং জনগণের দাবি অনুযায়ী কাজ করুন।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মাহবুব রতন, নুরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, শামীম শিবলী, দিপক রায়, আলীফ দেওয়ান ও বাচ্চু ভুঁইয়া।