জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলার চাশোতি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি (হঠাৎ ভারী বর্ষণ) থেকে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
খবর পেয়ে একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে। বন্যায় অনেক তীর্থযাত্রী আটকা পড়েছেন বলে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে। উদ্ধারকারীরা এরই মধ্যে অনেককে উদ্ধারও করেছেন।
পিটিআই জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৬৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।
এই চাশোতি থেকেই শুরু হয় মাচাইল মাতা যাত্রা নামে তীর্থযাত্রা। হিমালয়ের কোলে কিশতওয়ারের মাতা চন্ডীর এই মন্ডপে যেতে চাইলে চাশোতি পর্যন্তই সর্বশেষ মোটরগাড়িতে যাওয়া যায়। এরপর হেঁটে যেতে হয়। আকস্মিক বন্যার পর বার্ষিক মাচাইল যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।
কিশতওয়ারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) পঙ্কজ শর্মা জানিয়েছেন, কিশতওয়ারের চাশোতি এলাকায় আকস্মিক বন্যা আঘাত হেনেছে, এটিই মচাইল মাতা যাত্রার শুরুর স্থান। উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য উধমপুর থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১৮০ জন উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও উধমপুরের সাংসদ জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘মেঘভাঙা বৃষ্টি এত বড় এলাকাজুড়ে হয়েছে যে হতাহতের পরিমাণ ব্যাপক হতে পারে। আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। প্রশাসন দ্রুত ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। হেলিকপ্টারে উদ্ধার ও চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।’
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সব ধরনের ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
উদ্ধার অভিযান জোরদারে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেনেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।