গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার ২৬ দিন পর তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান, যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সেটি প্রকাশ করা হবে।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তারা। তদন্ত কমিশনের সভাপতি সাবেক বিচারপতি মো. আবু তারিকসহ ছয় সদস্যের দলটি সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও স্থাপনা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় পাঁচজন নিহত ও বহুসংখ্যক আহত হন। এর জেরে গ্রেপ্তার হন অনেকে।
এরপর জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ১১ জন নাগরিকের পর্যবেক্ষণ দল গোপালগঞ্জের ওই সহিংসতায় ‘অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ বিষয়ে সরকারের কাছে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত দাবি করে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিবৃতিতে বলেন, সেখানে তারা ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা’ পাননি।
এছাড়া পুলিশ ওই সংঘের্ষ কোনো মারণাস্ত্র ব্যবহার করেনি। পাশাপাশি এনসিপি নেতাদের ‘উত্তেজক বক্তব্য’ পরিস্থিতিকে গুরুতর করে তোলে বলেও অভিযোগ পেয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।
এমন আবহে সরকারের ওই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

গোপালগঞ্জে মঙ্গলবার সরেজমিনে সরকারি তদন্ত কমিটি যেসব স্থান পরিদর্শন করেছে, তার মধ্যে রয়েছে, ভাঙচুর হওয়া গোপালগঞ্জ জেলা কারাগার, সদর উপজেলার উলপুরে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের স্থান, শহরের পৌর পার্কে এনসিপি’র সভাস্থল, হামলার শিকার জেলা প্রশাসকের বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থান।
এ সময় ঘটনার বর্ণনা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে থেকে জানতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিটির সদস্য জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, বুধবারও তদন্ত কার্যক্রম চলবে।