জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশন ব্যর্থ হলে সেটি এককভাবে কমিশনের নয়, বরং সকলের ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি বলেন, ‘কমিশন কোনো আলাদা সত্তা নয়- এটি আপনাদের, আমাদের, সকলের যৌথ উদ্যোগ। কাজেই কোথাও যদি ব্যর্থতা দেখা দেয়, সেটি শুধু কমিশনের নয়, আমাদের সবার। কমিশনের ব্যর্থতা মানেই আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা।’
মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের চতুর্দশ দিনের আলোচনার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমত হওয়া গেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনাতেও কিছু অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এখন যেসব ইস্যুতে মতানৈক্য রয়েছে, সেগুলো নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে।’
তার মতে, কাঠামোগত সংস্কারে দলগুলো কতটুকু ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সেটাই হবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার সাফল্যের মাপকাঠি।
আজকের আলোচনায় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নারী প্রতিনিধিত্ব, সংবিধান সংশোধন এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা গঠনের সম্ভাবনা।