জাতীয় দলের আপাতত ব্যস্ততা নেই। দীর্ঘ শ্রীলংকা সফরের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলে বিশ্রামে আছেন লিটন দাসরা। তবে ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) প্রস্তুতি চলছে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে। যদিও দুই দলের প্রস্তুতিতে বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। হয়নি যথাযথ ম্যাচ অনুশীলন। বৃষ্টির বাধার মুখে চট্টগ্রামের ইনডোর স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধাও ক্রিকেটাররা কাজে লাগাতে পারছেন না, সেখানে সংস্কার কাজ চলমান থাকায়।
আগামী ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের রাজ্য নর্দার্ন টেরিটরির আয়োজনে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আগের আসরে বাংলাদেশ এইচপি ইউনিট খেললেও এবার প্রতিনিধিত্ব করবে ‘এ’ দল। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলে যথেষ্ট প্রস্তুতি ক্রিকেটাররা এখনো নিতে পারেননি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইনডোরে নতুন করে টার্ফ বসানোর কাজ চলমান থাকায় কাজটা আরো কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এইচপি সংশ্লিষ্ট এক সদস্য বলেন, ‘এত বড় একটা গ্রাউন্ডে একটা ইনডোর ফ্যাসিলিটি কেবল, এটা হতাশাজনক। শুরুতে এক মাস প্র্যাকটিস করেছি ওখানে। কিন্তু এরপর এখন কাজ হচ্ছে, নতুন করে টার্ফ, উইকেট বসানো হচ্ছে। যে কারণে ব্যবহার করতে পারছি না আমরা। এইচপি এবং ‘এ’ দলের জন্য এটা হতাশাজনক।’
গত ১০ জুন চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে এইচপির ক্যাম্প। ১৬ জুলাই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের অনুশীলন, যা চলমান থাকবে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস ধরে চলমান এই ক্যাম্পে এখন পর্যন্ত ১০-১২ দিন কেবল মূল মাঠে অনুশীলন করতে পেরেছেন ক্রিকেটাররা। বাকি সময় স্কিল ট্রেনিং ও ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন তারা।
অবশ্য ম্যাচ খেলার অভাব দুই দলের ক্রিকেটারদেরই ঘুচতে যাচ্ছে শীঘ্রই। আগামী ১,৩ ও ৫ আগস্ট তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে এইচপি ও ‘এ’ দল। টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি খেলার উদ্দেশ্যে ডারউইনে রওনা দেয়ার আগে ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির জন্যই এই ম্যাচ আয়োজিত হচ্ছে। তবে নিয়মিত ম্যাচ খেলতে না পারায় ‘এ’ দলের প্রস্তুতিতে ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।