ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোলের উপর ভর করে এএফসি নারী এশিয়ান কাপ ২০২৬ বাছাইপর্বে বড় চমক উপহার দিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
বুধবার ইয়াঙ্গুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ সি-তে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করল পিটার বাটলারের শিষ্যরা। ২০২৬ এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখন নিশ্চিত।
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ থেকে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচের ১৯তম মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান ঋতুপর্ণা। তার নেওয়া ফ্রি-কিকটি রক্ষণ দেয়াল ঠেকালেও ফিরতি বল নিচু শটে জালে পাঠিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধের ৭২তম মিনিটে আরও একবার নৈপুণ্যের ছাপ রাখেন ঋতুপর্ণা। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর বাম পায়ের শট উড়ে যায় গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে, যা পরে ম্যাচের ফল নির্ধারক গোল হিসেবেই প্রমাণিত হয়।
শেষ দিকে স্বাগতিকরা গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালালেও বাংলাদেশ রক্ষণভাগ ও গোলকিপার রূপনা চাকমা দুর্দান্ত দৃঢ়তায় তা রুখে দেন। ৮৮তম মিনিটে উইন উইনের একমাত্র গোল কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমায়।
এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই মনিকা চাকমার ক্রসে মিয়ানমার গোলরক্ষককে প্রথমবারের মতো পরীক্ষা নেয় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে শামসুন্নাহার জুনিয়র ও সিনিয়রের পাশাপাশি গোলরক্ষক রূপনা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মিয়ানমারের আক্রমণ ঠেকাতে।
এই জয়ের ফলে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সি-এর শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল দলটি। অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৮-০ গোলে হারানো মিয়ানমার এখন ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে।
বিকেলে ইয়াঙ্গুনে শক্তিশালী মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বের পথে এক পা এগিয়ে থাকে ঋতুপর্ণারা। সেই জয়েই কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশ চূড়ান্ত পর্বে যাওয়া। তারপরও অপেক্ষা ছিল ৫ জুলাই শেষ ম্যাচের জন্য। শনিবার তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের হারজিত নিয়ে এখন আর ভাবনা নেই।
সন্ধ্যায় একই গ্রুপে (‘সি’ গ্রুপ) বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তানের ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই গ্রুপসেরা হয়ে গেছে বাংলাদেশ। যার ফলে নিশ্চিত হয়ে গেছে ২০২৬ এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। ইতিহাস গড়ে সাবিনা-কৃষ্ণারা প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবে ।