প্রবল বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলে মুহুরী নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আবারও বন্যার কবলে পড়েছে ফেনী। এতে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার পশ্চিম অলকা, ঘোয়াল গ্রাম, ধনিকুণ্ডা, নোয়াপুর, জঙ্গল ঘোনা, শালধর, মধুগ্রাম, উত্তর শ্রীপুর, দেড়পাড়া, নিলখী ও দৌলতপুর গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সোমবার সকাল পর্যন্ত মুহুরী নদীর পরশুরাম পয়েন্টে পানি সমতলে প্রায় ৩২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় পরশুরামে ৬০ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ১৭২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পরে তা সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে, বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে মুহুরী নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় একাধিক পাকা রাস্তাসহ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য আনা ড্রেজার মেশিনের পাইপ ও জিও ব্যাগ। এর ফলে আতঙ্কিত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন।
কিছুদিন আগের বন্যায় ঘরবাড়ি হারানো মানুষ, হঠাৎ এই প্লাবনে একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত বাঁধ সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এর আগে, ৮ জুলাই ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ফেনীর প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে, বসতবাড়ি, কৃষিজমি ও সড়কপথ প্লাবিত হয়। সে সময় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগে ছিলেন।