প্রায় তিন মাসের অবরোধের পর অবশেষে গাজায় সীমিত পরিমাণে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল।
গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ থেকে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সেখানে দুর্ভিক্ষ হুঁশিয়ারির কয়েক দিন পরই এই সিদ্ধান্ত এলো।
ইসারেয়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, গাজায় ‘ক্ষুধা সংকট’ তাদের নতুন সামরিক অভিযানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই ২০ লাখের বেশি মানুষের জন্য ‘মৌলিক’ খাদ্যপণ্য প্রবেশে সম্মতি দিয়েছে তার দেশের মন্ত্রিসভা।
তবে কখন এবং কীভাবে এই সহায়তা গাজায় পৌঁছাবে, তা স্পষ্ট নয়। সহায়তা পৌঁছাতে ইসরায়েল একটি নতুন পদ্ধতি চাপিয়ে দিতে চাইছে, যা নিয়ে অনেক সাহায্য সংস্থার আপত্তি রয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘সহায়তা যেন হামাসের হাতে না পড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকবে ইসরায়েল।’
গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ আরোপ করে ইসরায়েল। তারা খাদ্য ও ওষুধসহ সব রকম পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। এরপর যুদ্ধ আবার শুরু হলে দুই মাসের যুদ্ধবিরতিও ভেঙে যায়।
রোববার ইসরায়েল জানায়, তারা গাজার উত্তর ও দক্ষিণে ‘বিস্তৃত স্থল অভিযান’ শুরু করেছে। বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০৩ জন, যাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে।
হামাস বলছে, তারা যুদ্ধ শেষ ও ইসরায়েলের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার ছাড়া কোনো সমঝোতা মানবে না।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি ভাঙার পর থেকে প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।