গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ‘দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের’ আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিক সুরক্ষা সংস্থা ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ (সিপিজে)।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি দোষীদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানিয়েছে।
গত ৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে গাজীপুর শহরের চাঁদনা চৌরাস্তা এলাকায় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তুহিনকে ধাওয়া করে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে।
সিপিজের আঞ্চলিক পরিচালক বেহ লি ই বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিক তুহিনের ওপর নৃশংস হামলার নিন্দা জানাই। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সবাইকে শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’

সিপিজে জানিয়েছে, গত এক বছরে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, হুমকি ও গ্রেপ্তারের ঘটনা বেড়েছে। ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
গাজীপুরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পৌরসভার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে এক ব্যক্তির ওপর হামলার ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী চক্র’।
তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে চান্দনায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং সাংবাদিকতার পাশাপাশি একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করতেন।
ওই ঘটনায় বাসন থানায় দুটি মামলা হয়। নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুহিনের শরীরের বুক-গলা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়।
তুহিন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আট আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আসামিদের প্রত্যেককে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে।