নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ও পৃথক সচিবালয়: রায় ২ সেপ্টেম্বর

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read

অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা বিষয়ে হাইকোর্টের রায় ২ সেপ্টেম্বর। এ বিষয়ে করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে বুধবার।

দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করেন।

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া।

অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় সরকার একমত এবং প্রক্রিয়া চলছে। তবে বিচার বিভাগে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স বজায় রাখতে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল রাখার পক্ষে তিনি যুক্তি দেন। রিটকারী পক্ষ ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের দাবি জানান।

২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট সাতজন আইনজীবী সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ও ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন। তারা পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের নির্দেশনাও চান।

প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চান—কেন ১১৬ অনুচ্ছেদ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং কেন পৃথক সচিবালয় গঠন করা হবে না।

আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের হাতে ছিল। ১৯৭৪ সালের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে তা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়। পরে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হয়-‘সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক’। আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষণা করলেও ১১৬ অনুচ্ছেদের এই বিধান বহাল থাকে।

রিট আবেদনকারী আইনজীবীরা হলেন-মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও জায়েদ বিন আমজাদ।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *